সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির কিছু অংশ নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে সমঝোতার কাছাকাছি পৌঁছানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। নিরপেক্ষতা নিয়ে কিয়েভ আলোচনায় সম্মত হয়েছে জানিয়ে এই ঘোষণা দিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এর ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ অবসানের আশা জাগছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, নিরপেক্ষ মর্যাদা নিয়ে এখন গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হচ্ছে, অবশ্যই তা নিরাপত্তা নিশ্চয়তার সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে দরকষাকষিতে আলোচনা হচ্ছে। অবশ্যই এর নির্দিষ্ট কাঠামো রয়েছে যা চুক্তির কাছাকাছি বলে মনে করছি।’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গত ফেব্রুয়ারিতেই সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে ন্যাটোর সম্প্রসারণ বাদে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার সঙ্গে নিরপেক্ষ থাকা নিয়ে বলেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ল্যাভরভ সতর্ক করে বলেন, আলোচনা সহজ ছিল না কিন্তু ‘সমঝোতায় পৌঁছানোর কিছু আশা রয়েছে’।
শান্তি আলোচনা নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে ইউক্রেনও। তাদের বক্তব্য, যুদ্ধ অবসানে তারা আলোচনায় প্রস্তুত কিন্তু আত্মসমর্পণ করবে না কিংবা রুশ আল্টিমেটাম মানবে না।
ল্যাভরভ জানিয়েছেন, মূল ইস্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ইউক্রেনের মানুষের নিরাপত্তা, ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ এবং ইউক্রেনের রুশ-ভাষী মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়ে পুতিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বলেন, তারাই পূর্বদিকে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাশিয়াকে হুমকি দিচ্ছে। পুতিন বলেন, ইউক্রেনে রুশ-ভাষী জনগোষ্ঠী ‘জাতীয়তাবাদী এবং নব্য নাৎসিদের’ হাতে গণহত্যার শিকার হওয়ায় অভিযান চালানো ছাড়া অন্য উপায় নেই।
তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে আসছে ইউক্রেন।
সূত্র: রয়টার্স